মিজবাউল হক, চকরিয়া:
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে মন্তব্য করেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু এমপি।

তিনি বলেন, এরশাদের জাতীয় পাটির সরকারের শাসনামলের সেই ৯বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য র্স্বণযুগ। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখনো জাতীয় পাটি সরকারের উন্নয়নের কথা স্বরণ রেখেছে। দেশের যতসব বড়বড় উন্নয়ন প্রকল্প এখনো দৃশ্যমান সেইসব কাজ পল্লীবন্ধু এরশাদ সরকারের ৯বছরের শাসনামলে হয়েছে। জাতীয় পাটির আমলেই দেশে উন্নয়নের ধারা শুরু হয়েছে। এখনো দেশের মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে দেশের উন্নয়নে জাতীয় পার্টির সরকারের বিকল্প নেই।

শুক্রবার বিকালে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইনানী রির্সোট মিলনায়তনে চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির আয়োজনে সংবর্ধনা পরবর্তী পথসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এমপি হাজি ইলিয়াছের হাত উচিয়ে ধরে জাপা নেতা বাবলু বলেন, জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটে আছে। আমরা চাই ঐক্যের ধারা ধরে রাখতে। একাদশ নির্বাচনে জোটগতভাবে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার জাতীয় পাটি এককভাবেও নির্বাচন করতে পারে। সেইজন্য ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে দলের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে জোটগত হোক আর দলগত হোক এ আসনে বর্তমান এমপিই মনোনয়ন পাবে। তাই আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে জাতীয় পাটির সকলস্তরের নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। আমরা চাই সারাদেশে লাঙ্গলের ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুনরায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামলের সোনালী দিনে ফেরাতে।

চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন দুলাল, জেলা জাতীয় পাটির যুগ্ম সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের নারী প্যানেল চেয়ারম্যান আসমাউল হুসনা, জেলা পরিষদের নারী সদস্য ও চকরিয়া পৌরসভা মহিলা পাটির সভাপতি রেহেনা খানম রাহু, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন, জেলা যুব সংহতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুস ছাফা সাগর।

বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, হারবাং ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সভাপতি মাস্টার অংকে ছিং, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি জাহাংগীর আলম, সাবেক সভাপতি মাহাবুব ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দিদারুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মেম্বার, সাবেক সভাপতি টিপু সোলতান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক পাটির সাধারণ সম্পাদক রুবেল, মাতামুহুরী জাতীয় যুব সংহতি সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মানিক, চকরিয়া উপজেলা মহিলা পাটির সভাপতি জোসনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সজরুন নাহার বুলু, পেকুয়া উপজেলা মহিলা পাটির সভাপতি আমাতুন নেছা হীরা, মাতামুহুরী মহিলা পাটির সভাপতি হুমায়রা বেগম। উপস্থিত ছিলেন ডুলাহাজারা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হক, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মোজাম্মেল হক, চকরিয়া পৌরসভা কমিটির আহবায়ক আবু ছাদেক, সদস্য সচিব রেজাউল করিম, মোহাম্মদ রিদুয়ান, বমুবিলছড়ি সভাপতি নাজেম উদ্দিন, সম্পাদক জাফর আলম, সুরাজপুর-মানিকপুর সভাপতি নুরুল ইসলাম, কাকারা সভাপতি রাকিব উদ্দিন, কৈয়ারবিল সভাপতি নাছির উদ্দিন, সম্পাদক দিদারুল আলম, বরইতলী সভাপতি মোজাফ্ফর আহমদ মেম্বার, হারবাং ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, টৈইটং সভাপতি আবদুল খালেক, শীলখালী সভাপতি আবু তাহের মেম্বার, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, রাজাখালী সম্পাদক ডা.রুহুল আমিন, বারবাকিয়া ইউনিয়ন সম্পাদক আবু জাফর, মগনামা ইউনিয়ন সভাপতি মো.আলমগীর, উজানটিয়া সভাপতি আবু বক্কর, সাহারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন সভাপতি নাজেম উদ্দিন, বিএমচর ইউনিয়ন সভাপতি বদিউল আলম, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম মেম্বার, কোনাখালী সভাপতি মৌলভী আকতার, বদরখালী সভাপতি শওকত আলী চৌধুরী, ঢেমুশিয়া সহ-সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন, ডুলাহাজারা মহিলা পাটির সভাপতি ছেনুয়ারা বেগম, সম্পাদক জুলি আক্তার, চকরিয়া পৌরসভা মহিলা পাটির সাধারণ সম্পাদক ছেনুয়ারা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার বেগম, হারবাং ইউনিয়ন মহিলা পাটির সভাপতি আনজুমান আরা বেগম।

এমপির সহকারি নাজিম উদ্ধিন ছাড়াও সভায় চকরিয়া উপজেলা, চকরিয়া পৌরসভা, পেকুয়া উপজেলা ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা জাতীয় পাটি ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে একইদিন সন্ধ্যায় জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু এমপি ডুলাহাজারা ইউনিয়ন জাতীয় পাটি আয়োজিত বিশাল পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ভাষন দেন।